..... তবুও নিয়ন্ত্রকের প্রয়োজন জড় জগতেও রয়েছে, আর খুব বেশি রকমেরই রয়েছে। কারণ এই জড়জগতেই পশুবৃত্তি ক্ষ্যাপা কুকুরের মতই অন্যের মুখের গ্রাস কেড়ে নেয়। এই জড়জগতেই ভগমা-প্রেষিত হয়ে মানুষ দেহধারী জীব বিধবার একমাত্র সন্তানকে আছড়ে মারে। এই জড়জগতেই অর্থগৃধ্নু পিশাচেরা সরল-খজু-একতাহীন মানুষদের তিলে তিলে শুকিয়ে মারে। এই জড়জগতেই সৰল দুর্বলের জিহ্বা উৎপাটিত করে তার মুখের ভাষা কেড়ে নেয়...তার প্রাণের আকুতিকে ভাষায় রূপ দেবার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করে। তাই এই জড়জগতের জন্যে কঠোর শাস্ত্রের প্রয়োজন। এই শান্ত্র যে কেবল সব সময়েই বিশেষ ধরণের পুস্তকাকারে হবে এমন কোন কথা নেই। একজন শুভঙ্কর ভাবদৃপ্ত মানুষই এই ধরণের ক্ষেত্রে পুস্তকরূপী শাস্ত্রের চেয়ে বেশী কাজ করতে পারে।
(নমঃ শিবায় শান্তায়। পৃঃ ১৩১)
Comments
Post a Comment