জগতে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য বিশ্বৈকতাবাদকে মানতেই হবে কিন্তু মনে রাখতে হবে শান্তি এক আপেক্ষিক সত্য। পাপী যখন সাধু বা সৎ লোকের ভয়ে মাথা নিচু করে চলে তখন তাকে বলব সাত্ত্বিকী শান্তি, আর যখন পাপী চলে মাথা উঁচু করে তখন বুঝতে হবে সমাজে চলছে তামসিক শান্তি। বিশ্বৈকতাবাদ যার ধ্যেয় সে অবশ্যই সাত্ত্বিক স্বভাবের মানুষ হবে। তাই সত্যিকারের শান্তি হচ্ছে সাত্ত্বিকী শান্তি। সে ক্ষেত্রে শোষণের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে আর যতক্ষণ পর্যন্ত এই সংগ্রামে জয়ী হতে থাকবে ততক্ষণ সমাজে থাকবে সাত্ত্বিকী শান্তি। বিভেদমূলক শক্তিকে সমূলে উৎপাটিত করতে হবে। এটা হল সংগ্রামী সাধকের সামাজিক রূপ। বৈয়ষ্টিক জীবনে তাকে মানসিক ও আধ্যাত্মিক সাধনার দ্বারা নিজের চৈত্তিক বিকাশ করে যেতে হবে, এইজন্যে তাদের সর্বদা এক হয়ে থাকতে হবে। সাধককে এইভাবে এক দৃঢ় সমাজ তৈরি করে নিতে হবে, না হলে ঠিকভাবে সংগ্রাম করা সম্ভব হবে না।
-- শ্রী শ্রী আনন্দমূর্ত্তি
Comments
Post a Comment